下载 APKPure App
可在安卓获取সিয়াম (রোজা) ও রামাদান的历史版本
索姆(空腹)斋月
শাউওয়ালের ছয় সিয়ামের সাথে কাযা মিলিয়ে রাখার বিধান
১১. শাউওয়ালের ছয় সিয়ামের সাথে কাযা মিলিয়ে রাখার বিধান?
ইবন বায বলেন: “বিশুদ্ধ মতে এতে কোনো সমস্যা নেই”। মাজমুউল ফতোয়া: (১৫/৩৯৬)
১২. শাউওয়ালের ছয় সিয়াম জিলকদ মাসে কাযা করা বৈধ?
ইবন উসাইমীন বলেন:
১. যদি আমরা মনে করি, সফর অথবা অসুস্থতা অথবা নিফাসের কারণে কারো উপর পূর্ণ রমযানের কাযা ছিল, সে শাউওয়াল মাস সিয়াম রাখল এবং কাযাতেই তার পূর্ণ শাউওয়াল অতিবাহিত হল, তার পক্ষে জিলকদ মাসে ছয়টি সিয়াম রাখা বৈধ।
২. আর যদি সে অলসতা করে, এবং শাউওয়ালের কয়েকটি দিন চলে যায় যেখানে সে রমযানের কাযা করতে সক্ষম ছিল কিন্তু করে নি, অতঃপর শাউওয়ালের শেষ দিকে রমযানের কাযা করে এবং শাউওয়াল শেষে জিলকদ মাসে সিয়াম রাখে, এটা তার পক্ষে যথেষ্ট হবে না”। লিকাউল বাবিল মাফতুহ।
১৩. মান্নত নাকি শাউওয়াল কোন সিয়াম আগে রাখবো?
ইবন বায বলেন: “তোমার ওপর প্রথম জরুরি হচ্ছে মান্নতের সিয়াম পূর্ণ করা, অতঃপর শাউওয়ালের ছয় সিয়াম রাখা যদি তা সম্ভব হয়। কারণ, শাউওয়ালের ছয় সিয়াম মুস্তাহাব; পক্ষান্তরে মান্নতের সিয়াম ওয়াজিব”। ফতোয়া নুরুন আলাদ্দারব: (৩/১২৬১)
১৪. শাউওয়ালের ছয় সিয়ামের জন্য কি নিয়ত জরুরি?
ইবন উসাইমীন বলেন: “রমযান পরবর্তী শাউওয়ালের ছয় সিয়ামে যদি কেউ দিনে নিয়ত করে তাহলে সে পূর্ণ দিনের সাওয়াব পাবে না। যদি মনে করা হয় কেউ প্রথম দিন জোহরের সময় নিয়ত করে অতঃপর অবশিষ্ট পাঁচটি সিয়াম রাখে, তাহলে সে ছয়টি সিয়াম পূর্ণ পায় নি, পাঁচ দিন ও এক দিনের অর্ধেক, কারণ নিয়ত থেকেই সাওয়াব লিখা আরম্ভ হয়। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন,
«إنما الأعمال بالنيات وإنما لكل امرئ ما نوى».
“আমল নিয়তের উপর নির্ভরশীল, প্রত্যেক ব্যক্তির জন্য তাই যা সে নিয়ত করেছে”। এ ব্যক্তি দিনের শুরুতে সিয়াম রাখার নিয়ত করে নি অতএব তার পূর্ণ দিন সিয়াম হয় নি”। ফতোয়া নুরুন আলাদ্দারব।
১৫. শাউওয়ালের ছয় সিয়ামের হিকমত কী?
ইবন উসাইমীন বলেন: “শাউওয়ালের সিয়াম দ্বারা ফরয পূর্ণ করা উদ্দেশ্য, কারণ শাউওয়ালের ছয় সিয়াম ফরয সালাত পরবর্তী সুন্নতে রাতেবার মতো, যার দ্বারা ফরয সালাতে সৃষ্ট ত্রুটি পূর্ণ করা হয়”। ফতোয়া নুরুন আলাদ্দারব।
১৬. শাউওয়ালের তিনটি বা পাঁচটি সিয়াম পালনকারী কি সাওয়াব পাবে?
ইবন উসাইমীন বলেন: “হ্যাঁ, সংখ্যানুপাতে সাওয়াব পাবে, তবে পূর্ণ সাওয়াব পাবে না যার ওয়াদা নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম নিম্নের বাণীতে করেছেন:
«من صام رمضان ثم أتبعه ستّاً من شوال فكأنما صام الدهر».
“যে রমযানের সিয়াম রাখল অতঃপর তার পশ্চাতে শাউওয়ালের ছয়টি রাখল, সে যেন পুরো বছর সিয়াম রাখল”। দেখুন: ফতোয়া নুরুন আলাদ্দারব।
১৭. শাউওয়ালের ছয় সিয়ামের সাথে সোম ও বৃহস্পতিবারের সিয়ামের নিয়ত করা কি বৈধ?
ইবন উসাইমীন বলেন: “যদি শাউওয়ালের ছয় সিয়াম সোম ও বৃহস্পতিবার হয়, তাহলে নিয়তের কারণে শাউওয়াল এবং সোম ও বৃহস্পতিবারের সাওয়াব পাবে”। ফতোয়া নুরুন আলাদ্দারব।
১৮. শাউওয়ালের ছয় সিয়াম কি রমযানের কাযা হিসেবে গণ্য করা বৈধ?
ইবন উসাইমীন বলেন: “শাউওয়ালের ছয় সিয়ামকে রমযানের কাযা হিসেবে গণ্য করা বৈধ নয়। কারণ, ছয় সিয়াম রমযানের অনুগামী, যেমন ফরয সালাতের অনুগামী তার পরবর্তী সুন্নত”। ফতোয়া নুরুন আলাদ্দারব।
১৯. কাফফারার সিয়ামের পূর্বে কি শাউওয়ালের ছয় সিয়াম রাখা বৈধ?
ইবন বায বলেন: “ওয়াজিব হচ্ছে কাফফারার সিয়াম দ্রুত আদায় করা, তার পূর্বে নফল রাখা বৈধ নয়, কারণ শাউওয়ালের ছয় সিয়াম নফল আর কাফ্ফারার সিয়াম ফরয। কাফ্ফারা দ্রুত আদায় করা ওয়াজিব”। মাজমুউল ফতোয়া: (১৫/৩৯৪)
২০. রমযানের কাযা যার ওপর রয়েছে, সে কি কাযা আদায় করার পূর্বে শাউওয়ালের ছয় সিয়াম রাখলে হাদীসে বর্ণিত সাওয়াব পাবে?
ইবন উসাইমীন বলেন: “রমযান মাসের সিয়াম পূর্ণ করা ব্যতীত শাউওয়ালের ছয় সিয়ামের ফযীলত হাসিল হবে না”। মাজমুউল ফতোয়া: (২০/১৮)
ইবন বায বলেন: “নিয়ম হচ্ছে কাযা দিয়ে সিয়াম শুরু করা, দ্রুত কাযা আদায় করাই ওয়াজিব, যদিও ছয়টি সিয়াম ছুটে যায়, কারণ ফরয নফলের চেয়ে মুকাদ্দিম বা অগ্রাধিকার প্রাপ্ত”। মাজমুউল ফতোয়া: (১৫/৩৯৩)
Last updated on 2017年05月17日
Minor bug fixes and improvements. Install or update to the newest version to check it out!
সিয়াম (রোজা) ও রামাদান
1.0 by Md Mamunur Rasid
2017年05月17日