বিশ্বকর্মা হলেন একজন হিন্দু দেবতা।
বিশ্বকর্মা হলেন একজন হিন্দু দেবতা। ঋগ্বেদ অনুযায়ী, তিনি পরম সত্যের প্রতিরূপ এবং সৃষ্টিশক্তির দেবতা। উক্ত গ্রন্থে তাকে সময়ের সূত্রপাতের প্রাক্-অবস্থা থেকে অস্তিত্বমান স্থপতি তথা ব্রহ্মাণ্ডের দিব্য স্রষ্টা বলে উল্লেখ করা হয়েছে।
রামায়ণে একাধিক স্থলে বিশ্বকর্মার উল্লেখ পাওয়া যায়। আদিকাণ্ডে উল্লিখিত হয়েছে, বিশ্বকর্মা দুটি ধনুক নির্মাণ করেছিলেন। দেবতারা তার মধ্যে একটি ত্রিপুরাসুর বধের জন্য শিবকে এবং অপরটি বিষ্ণুকে প্রদান করেন। বিষ্ণু তার ধনুকটি প্রদান করেন পরশুরামকে। রাম শিবের ধনুকটি ভঙ্গ করে সীতাকে বিবাহ করেন এবং অপর ধনুটিতে জ্যা আরোপ করে পরশুরামের দর্প চূর্ণ করেন।
বিশ্বকর্মার পুত্র বিশ্বরূপকে ইন্দ্র বধ করেছিলেন। সমুদ্র বিশ্বকর্মার অপর পুত্র ছিলেন নলকে সেতুবন্ধনের উদ্দেশ্যে রামের হাতে প্রদান করেছিলেন। নলেরই কৌশলে সমুদ্রে সেতুবন্ধন সম্পন্ন হয়েছিল।
বিশ্বকর্মা নির্মিত স্বর্ণলঙ্কা, কাংড়া চিত্রকলা, আনু. ১৭৭৫-৮০
রামায়ণে উল্লিখিত বিশ্বকর্মার স্থাপত্যকীর্তিগুলি হল: কুঞ্জর পর্বতের ঋষি অগস্ত্যের ভবন, কৈলাস পর্বতে অবস্থিত কুবেরের অলকাপুরী ও লঙ্কা নগরী। এছাড়া বিশ্বকর্মা ব্রহ্মার জন্য নানা অলংকারে সজ্জিত পুষ্পক বিমান নির্মাণ করেছিলেন। এই বিমান ব্রহ্মা কুবেরকে দান করেন এবং রাবণ তা কুবেরের থেকে অধিকার করেন। সমুদ্রস্থিত চক্রবান পর্বতে সহস্রার চক্রও বিশ্বকর্মার সৃষ্টি। বিষ্ণু পঞ্চজন ও হয়গ্রীব নামে দুই অসুরকে বধ করে শঙ্খ ও চক্র দুটি গ্রহণ করেছিলেন।