বিরবলের হাসির গল্প

বিরবল Birbol বেশী পরিচিত ছিলেন তার প্রজ্ঞা ও যুক্তিপূর্ন বাক্য বিনিময়ের জন্যে।

বীরবল ১৫২৮ সালে যমুনার তীর সংলগ্ন টিকাভানপুরে এক দরিদ্র ব্রাম্মন পরিবারে জন্ম নেন। তার প্রকৃত নাম ছিলো মহেশ দাস। প্রজ্ঞা, কৌতুক ও ন্যায়-বোধের জন্যে তিনি সম্রাট আকবরের রাজসভায় একজন উপদেস্টা হন। তিনি আকবরের সামরিক ও প্রশাসনিক কর্মকান্ডের তত্ত্বাবধায়ক ছিলেন। কথিত আছে তিনি ১৫৮৩ সালে আফগানিস্থান অভিযানে মারা যান। তার মৃত্যুতে সম্রাট খুব মর্মাহত হন এবং কয়েকমাস কাল বেশ কাতর ছিলেন।

বাংলা সাহিত্যে রম্যরচনার প্রসার ও ব্যবহার আছে বিস্তর। রম্যরচনা কৌতুকমুখী হলেও এর মুখ্যবানী সমাজের নিয়ম-নীতি ও মূল্যবোধ তুলে ধরা। অনেক সময় রম্যরচনা নিতান্তই হাসি-ঠাট্টা মনে হলেও এর পিছনে রয়েছে সূক্ষ্ চিন্তাবোধ। বাঙালী সমাজে বীরবলের কৌতুক ও প্রজ্ঞার কথা অতি পরিচিত।