রূহ সম্পর্কে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ মাস'আলা
রুহ হল আরবি শব্দ।এর বাংলা অর্থ হল আত্মা।এটা আল্লাহ প্রদত্ত এক বিশেষ কুদরত।সম্পুর্ন শূন্যতা বা অস্তিত্বহীন থেকে শক্তির মাধ্যমে তিনি যেভাবে সৃষ্টিকে অস্তিত্বে আনেন,তেমনি করে অতিরিক্ত আরেকটি শক্তির মাধ্যমে নিষ্প্রাণ পদার্থে তিনি প্রাণের উন্মেষ ঘটান।সে অতিরিক্ত শক্তিই হল রুহ বা আত্মা।আসুন দেখে নেই রুহ সম্পর্কে পবিত্র কোরআনে কি বলা হয়েছে
যেদিন রূহ ও ফেরেশতাগণ সারিবদ্ধভাবে দাঁড়াবে। দয়াময় আল্লাহ যাকে অনুমতি দিবেন, সে ব্যতিত কেউ কথা বলতে পারবে না এবং সে সত্যকথা বলবে। (৭৮: ৩৮)
আল্লাহ প্রদত্ত সেই বিশেষ শক্তিটি যে কি? সেটা আজো অবধি বস্তু-বিজ্ঞানিদের পক্ষে জানা সম্ভব হয়নি।তবে বস্তু বিজ্ঞানীগণ বসে নেই,তারা বিরামহিন সাধনা ও গবেষনার কাজ চালিয়েই যাচ্ছেন।প্রাণবান ও প্রাণহীন বস্তুর মধ্যকার পার্থক্য নির্ণয় করে,সে পার্থক্যের সুত্র ধরে সামনে এগিয়ে গিয়ে সে বিশেষ শক্তিটির প্রকৃতি জানার চেষ্টা বিজ্ঞানীগণ বহুদিন থেকেই করে আসছেন।শত শত বৎসরের সাধনায় তারা বেশ কিছু মুল্যবান তথ্য আবিষ্কার করতে সক্ষম হয়েছেন এবং প্রাণ যে একটি শক্তি বিজ্ঞানীগণ এ সত্যটাই শুধু প্রমান করতে সক্ষম হয়েছেন।প্রথমে উনবিংশ শতাব্দির শেষের দিকে বিখ্যাত জার্মান রসায়ন বিজ্ঞানি Baron von Riechenbach বলেছেনঃ মানুষ,গাছপালা ও পশু-পাখির শরির থেকে বিশেষ এক প্রকার জ্যোতি বের হয়।বর্তমান শতাব্দির প্রথম দিকে লন্ডনের সেন্ট টমাস হাস্পাতালের ডাক্তার ওয়াল্টার কিলনার লক্ষ্য করেন Dicyanim Dye রঞ্জিত কাঁচের ভিতর দিয়ে তাকালে মানুষের দেহের চার পাশে ছয় থেকে আট সেন্টিমিটার পরিমিত স্থান জুড়ে একটি উজ্জ্বল আলোর আভাকে মেঘের মত ভাসতে দেখা যায়।তিরিশের দশকে সোভিয়েত বিজ্ঞানি আলেকজান্ডার গুরভিচ আবিষ্কার করেন যে,জিবন্ত সবকিছু থেকেই এক ধরনের বিশেষ এক শক্তি আলোর আকারে বের হয় যা খালি চোখে দেখা যায়না।এভাবে মানুষের পেশীর টিসু,চোখের কার্ণিয়া,রক্ত এবং স্নায়ু থেকে যে শক্তি বের হয়ে আসে ডাঃ গুরভিচ তার নাম দেন Mitogenetic Radiation.