কোথাও কেউ নেই

কোথাও কেউ নেই হুমায়ুন আহমেদেরhumayon अहमद द्वारा Kothao Kew nei बंगला कहानी

বাংলাদেশ টেলিভিশনে প্রদর্শিত এই টিভি ধারাবাহিক এতোটাই জনপ্রিয়তা অর্জন করেছিল যে, ধারাবাহিকটির প্রতিটা পর্ব, দর্শকরা প্রবল আগ্রহ নিয়ে উপভোগ করতেন। ধারাবাহিকের অগ্রগতির সাথে সাথে দর্শকরা বাকের ভাইকে পছন্দ করে ফেলেন এবং বাকের পক্ষে জনমত গড়ে উঠে। একপর্যায়ে যখন বাকের ভাইয়ের ফাঁসি হবার সম্ভাবনা প্রবল হয়ে উঠে, উকিল হুমায়ূন ফরিদি শত চেষ্টাসত্ত্বেয় খেই হারিয়ে ফেলছেন এই কেসে, তখন দর্শকরা প্রতিবাদমুখর হয়ে রাস্তায় বেরিয়ে আসে; চলতে থাকে মিছিল, দেয়াল লিখন, সমাবেশ। ঢাকাসহ বাংলাদেশের বিভিন্ন স্থানে লোকজন মিছিল করে স্লোগান দিতে থাকে:

বাকের ভাইয়ের ফাঁসি কেন, কুত্তাওয়ালী জবাব চাই

কিংবা,

বাকের ভাইয়ের কিছু হলে জ্বলবে আগুন ঘরে ঘরে[২]

এসকল খবর, সমসাময়িক পত্র-পত্রিকাতে প্রকাশিত হয় বেশ গুরুত্বের সাথে। তখন স্বভাবতই মনে হয়েছিল, হয়তো লেখক, জনমতের ভিত্তিতে ধারাবাহিকের গল্পের মোড় ঘুরিয়ে দিতে পারেন। কিন্তু হুমায়ূন আহমেদ তা না করে ধারাবাহিকটিকে তার যথাবিহীত পরিণতি দেন, এবং বাকের ভাইয়ের পক্ষে দর্শকদের তুমুল আবেগ এবং সমর্থন সত্ত্বেও ধারাবাহিকে বাকের ভাইয়ের ফাঁসি হয়।

এই অ্যাপ টিতে নিচের গল্প গুলি পাবেন। এবং পরবর্তী আপডেট এ অন্যান্য বই গুলি সংযুক্ত করা হবে।

কোথাও কেউ নেই

মুনা ঘড়ি দেখতে চেষ্টা করলো

মুনার দেখা নেই

মুনার মনে হল তার জ্বর আসছে

পাল বাবু অবাক হয়ে বললেন

টেলিগ্রামে লেখা ছিল

বাকের ভাই পা ফাঁক করে দাঁড়িয়ে আছেন

মামুন বলল কি কেমন দেখছ

বকুলের বিয়ের কথাবার্তা হচ্ছে

শওকত সাহেব

স্কুল টিচারদের বাড়ি যে রকম থাকে

উকিল খুব ব্যস্ত

শেষ পর্যন্ত টিকে ছিল ইয়াদ

লতিফা ছটফট করছিলেন

বাইরে হাঁটাহাঁটির পরিমাণ

টিনা বিরক্ত হয়ে বলল

পরপর তিন কাপ চা

মামুনের মন খারাপ হয়ে গেল

মামুন এসেছিল

আমার নাম ফজলু

বাকের একটা মোটর সাইকেল জোগাড় করেছে

বকুলকে আজ তার শাশুড়ি দেখতে আসবেন

বাকেরের বড় ভাই হাসান সাহেব

বাকেরের বড় ভাই হাসান সাহেব

হাসান সাহেব শুনলেন

যাদের নাম ক দিয়ে শুরু হয়

বকুলের গায়ে হলুদ

বকুলের বিয়ে হয়ে গেল

এক সপ্তাহ অনেক লম্বা সময় নয়

পুলিশের হাঙ্গামায় বাকের

জাহানারা অবাক হয়ে বলল

শওকত সাহেব চোখ মেললেন

ঝাঁ ঝাঁ রোদ উঠেছে

ভদ্রলোক সরু চোখে তাকিয়ে রইলেন

শওকত সাহেবের জ্বর

বাকেরের চেহারায় আজ বিরাট পরিবর্তন

শ্রাবণ মাসের গোড়াতে

চার মাস হাজতবাসের পর

ক’দিন ধরেই অসহ্য গরম

জহিরের চিঠি

বাকের নেত্রকোনা স্টেশনে নেমেছে

সিদ্দিক সাহেবকে আজ একটু বিমর্ষ দেখাচ্ছে

স্যার আমার নাম বাকের

মামুন জাহানারাদের বাসায় এসে উঠল

সোনালি ডানার চিল চক্রাকারে ওড়ে

হুমায়ূন আহমেদ বিংশ শতাব্দীর বাঙালি জনপ্রিয় কথাসাহিত্যিকদের মধ্যে অন্যতম। তাঁকে বাংলাদেশের স্বাধীনতা পরবর্তী শ্রেষ্ঠ লেখক গণ্য করা হয়।সাবলীল ঘটনার বর্ননা আর সহজ ভাষায় লেখার কারণে হুমায়ুন আহমেদের বই এর তুলনা নেই। হুমায়ূন আহমেদ একাধারে ঔপন্যাসিক, ছোটগল্পকার, নাট্যকার এবং গীতিকার। বলা হয় আধুনিক বাংলা কল্পবিজ্ঞান সাহিত্যের তিনি পথিকৃৎ। নাটক ও চলচ্চিত্র পরিচালক হিসাবেও হুমায়ূন আহমেদ সমাদৃত। তাঁর প্রকাশিত গ্রন্থের সংখ্যা দুই শতাধিক। বাংলা কথাসাহিত্যে তিনি সংলাপপ্রধান নতুন শৈলীর জনক। হুমায়ুন আহমেদের বইসমূহ পৃথিবীর নানা ভাষায় অনূদিত হয়েছে, বেশ কিছু গ্রন্থ স্কুল-কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঠ্যসূচীর অন্তর্ভুক্ত। সত্তর দশকের শেষভাগে থেকে শুরু করে মৃত্যু অবধি তিনি ছিলেন বাংলা গল্প-উপন্যাসের অপ্রতিদ্বন্দ্বী কারিগর। এই কালপর্বে তাঁর গল্প-উপন্যাসের জনপ্রিয়তা ছিল তুলনারহিত। হুমায়ূন আহমেদ এর সৃষ্ট হিমু ও মিসির আলি চরিত্রগুলি বাংলাদেশের যুবকশ্রেণীকে গভীরভাবে উদ্বেলিত করেছে।তাঁর নির্মিত চলচ্চিত্রসমূহ পেয়েছে অসামান্য দর্শকপ্রিয়তা। তবে তাঁর টেলিভিশন নাটকগুলি ছিল সর্বাধিক জনপ্রিয়। সংখ্যায় বেশী না হলেও তাঁর রচিত গানগুলোও সবিশেষ জনপ্রিয়তা লাভ করে। তাঁর অন্যতম উপন্যাস হলো নন্দিত নরকে, মধ্যাহ্ন, জোছনা ও জননীর গল্প, মাতাল হাওয়া ইত্যাদি। তাঁর নির্মিত কয়েকটি চলচ্চিত্র হলো দুই দুয়ারী, শ্রাবণ মেঘের দিন, ঘেঁটুপুত্র কমলা ইত্যাদি। নবীজি (২০১২) হুমায়ুন আহমেদের অপ্রকাশিত ও অসমাপ্ত বই।

কোথাও কেউ নেই হুমায়ুন আহমেদের

Kothao kew nei

Kothao kew nei by humayon ahmed

Humayon ahmed bangla story

humayon ahme

himu collection হিমু সমগ্র or himu all book has created by famous writer humayun ahmed. himu somogro aloweys follow the emotional asprects. but misir ali collection or misir ali somogro follow the best logic relevent to the real life problems.

if one throughly read misir ali all books or misir ali series he can get the logical aspect of humayun ahmed.