터키의 현 Recep Tayyip Erdogan 대통령은 오늘날 세계에서 경이로움입니다 ...
তুরস্কের বর্তমান প্রেসিডেন্ট রেজেপ তায়্যিপ এরদোয়ান বর্তমান বিশ্বে বিস্ময়কর প্রতিভাবান রাষ্ট্রনায়ক। তিনি বর্তমান জামানায় তুরস্ক তথা বিশ্বের এক অবিসংবাদিত নেতা। বিশ্বের মজলুম মুসলিমদের একমাত্র নেতা। শাসক হিসাবে বিশ্বের মজলুম জনগণের একমাত্র কণ্ঠস্বর, বিশ্বের জাতি-ধর্ম নির্বিশেষে সব অসহায় বনি আদমের অন্যতম সহায়ক। মাত্র ১০০ বছর আগে বিশ্বের একমাত্র পরাশক্তি তথা সুপার পাওয়ার, বর্তমান তুরস্কের অভাবনীয় অর্থনৈতিক উন্নয়নের রূপকার হলেন প্রেসিডেন্ট এরদোয়ান।
এরদোয়ানকে নিয়ে অনেক গবেষণা চলছে। তিনি এখনও জীবিত। সমগ্র বিশ্বকে অবাক করে জনগণের সংখ্যাগরিষ্ঠ ভোটে বারবার নির্বাচিত হয়ে একাধারে ১৬/১৭ বছর দেশ পরিচালনা করছেন।
যে ব্যক্তি ছেলেবেলায় নিজের লেখাপড়ার খরচ ও পরিবারের খরচ মেটানোর জন্যে ইস্তান্বুলের অলিগলিতে লেবু, তরমুজ আর সিমিট রুটি ফেরি করে বেড়াতেন এবং যার আয় হতে নিজের ও পরিবারের খরচ মেটাতেন, সেই এরদোয়ান ১৯৯৪ থেকে ১৯৯৮ সাল পর্যন্ত তুরস্কের সবচেয়ে জনবহুল শহর, যেখানে তুরস্কের প্রায় এক-চতুর্থাংশ লোকের বসবাস, ব্যবসা ও অন্যান্য সাংস্কৃতিক কেন্দ্র বহু ভোটে এ নগরের মেয়র নির্বাচিত হন। মহানগরীর বহু দিনের সমস্যা সমাধান করে সারা দেশে প্রশংসিত হয়েছিলেন। তারই বদৌলতে এ কে পার্টি গঠন করে ২০০২ সাল থেকে আজ পর্যন্ত ১৬/১৭ বছর তুরস্কের অত্যন্ত জনপ্রিয় সফল প্রতাপশালী শাসক। আধুনিক তুরস্কের উন্নয়নের রূপকার এবং একটি পরাশক্তি (সুপার পাওয়ার) থেকে রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিকভাবে অধঃপতিত তুর্কি জাতিকে আবার বিশ্বের বুকে একটি সম্মানজনক ও মর্যাদাশীল জাতি হিসেবে প্রতিষ্ঠা করার নেতা।
এরদোয়ান সম্পর্কে বিভিন্ন ভাষায় বই লেখা শুরু হয়েছে। বাংলা ভাষায়ও একাধিক বই বেরিয়েছে। এসব বইয়ে তুরস্কের ইতিহাস, অর্থনৈতিক, ধর্মীয় অবস্থা তুলে ধরা হয়েছে। তুলে ধরা হয়েছে দেশটির অতীত ও বর্তমান ইতিহাস, সামাজিক অবস্থা।
আমার বইয়ে সংক্ষিপ্ত ধারণা দেয়ার চেষ্টা করেছি। তুরস্কের বর্তমান অবস্থা নিয়ে লেখার জন্য প্রত্যক্ষ অভিজ্ঞতা প্রয়োজন। এ লক্ষ্যেই আবার লন্ডন থেকে ২০১৮ সালের অক্টোবরে তুরস্কে দ্বিতীয় বার গেলাম। রওয়ানা হওয়ার আগেই লন্ডনে যোগাযোগ করি তুর্কি বন্ধু হাকান ইরদেম ও হাসান বাসরীর সঙ্গে। তাদেরই রেফারেন্সে ইস্তান্বুলের এ কে পার্টির কয়েকজন নেতার সঙ্গে যোগাযোগ করি। তাদের সঙ্গে আলোচনা করলাম এবং লেখার জন্য কিছু তথ্য লিখিতভাবে পাঠানোর জন্য অনুরোধ করলাম এবং সময়মতো পাঠিয়েও দিলেন তারা। তারা হলেন মি. সামেদ আজিরবাস, মিস ইসরা ওজে, মি. মোস্তাফা পারলাক ও বোরাক। সুযোগ পাওয়ার পরও সময়স্বল্পতায় জ্যেষ্ঠ নেতাদের সঙ্গে দেখা করতে পারিনি। ইনশাআল্লাহ পরবর্তী সফরে সবার সঙ্গে দেখা করে আরও অনেক তথ্য জানতে পারব, যা হয়তো পরবর্তী পর্যায়ে লেখার চেষ্টা করব।
সত্যিই তুরস্কে এসেছে এক বিস্ময়কর পরিবর্তন। চাই অর্থনৈতিক হোক আর সামাজিক ও ধর্মীয় দিক থেকে হোক। একমাত্র যারা এরদোয়ানের আগে এবং পরের তুরস্ক সম্পর্কে সম্যক অবগত আছেন, তারাই সেই পার্থক্য উপলব্ধি করতে পারবেন।
নানা কারণে বইটিতে বিভিন্ন ভুলত্রুটি থাকতে পারে। পাঠকদের কাছে অনুরোধ, ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখে গঠনমূলক পরামর্শ দানে বাধিত করবেন। পরবর্তী সংস্করণে তা পরিবর্তন ও পরিবর্ধন করার চেষ্টা করবো।