下載 APKPure App
可在安卓獲取ইসলামিক ল্যাব ২০২০的歷史版本
孟加拉的古蘭經教育由祈禱,教育,聖訓和各種問答組成
নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে বর্ণিত, সহীহ হাদীসে এসেছে , তিনি বলেন,
“ইসলামের ভিত্তি পাঁচটি জিনিসের ওপর স্থাপিত, সাক্ষ্য প্রদান করা যে, আল্লাহ ব্যতীত সত্যিকার কোনো উপাস্য নেই এবং মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আল্লাহর রাসূল। সালাত প্রতিষ্ঠা করা, যাকাত প্রদান করা, রমাযান মাসে সাওম পালন করা। সক্ষম ব্যক্তির জন্য আল্লাহর ঘরে (কাবা শরীফে) হজ পালন করা”।
উক্ত হাদীসটি ইসলামের পাঁচটি রুকন বা স্তম্ভকে অন্তর্ভুক্ত করেছে।
প্রথম স্তম্ভ:
“আল্লাহ ব্যতীত কোনো সত্য মা‘বুদ নেই এবং মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁর রাসূল– এ কথার সাক্ষ্য প্রদান করা।” আর এখানে ‘লা ইলাহা’ শব্দটি প্রমাণ করছে যে, আল্লাহ ছাড়া যা কিছুর ইবাদত করা হয় তা সবই বাতিল এবং ‘ইল্লাল্লাহ’ শব্দটি প্রমাণ করছে ইবাদত কেবল এক আল্লাহর জন্যই নিবেদিত হতে হবে, যাঁর কোনো অংশীদার নেই। আল্লাহ তা‘আলা বলেন,
“আল্লাহ সাক্ষ্য দেন যে তিনি ছাড়া কোনো সত্য ইলাহ নেই, আর ফিরিশতা ও জ্ঞানীগণও। তিনি ন্যায় দ্বারা প্রতিষ্ঠিত। তিনি ছাড়া কোনো সত্য ইলাহ নেই। তিনি পরাক্রমশালী, প্রজ্ঞাময়।” [সূরা আলে ইমরান, আয়াত: ১৮]
আল্লাহ ছাড়া কোনো সত্য ইলাহ নেই, এ কথার সাক্ষ্য দানের মাধ্যমে তিনটি জিনিসের স্বীকৃতি প্রদান করা হয়।
প্রথমত: তওহীদুল উলুহিয়্যাহ, অর্থাৎ সকল প্রকার ইবাদত একমাত্র আল্লাহর নিমিত্তে, এ কথার স্বীকারোক্তি দেওয়া এবং ইবাদতের কোনো অংশই আল্লাহ ছাড়া অন্যের জন্যে নিবেদন না করার অঙ্গিকার করা। আর এ উদ্দেশ্যেই আল্লাহ তা‘আলা সৃষ্টিজগতকে অস্তিত্বে এনেছেন। এ বিষয়ে আল্লাহ তা‘আলা বলেন,
“আমি জ্বিন ও মানব জাতিকে কেবল এ জন্যই সৃষ্টি করেছি যে, তারা একমাত্র আমারই ইবাদত করবে”। [সূরা আয–যারিয়াত, আয়াত: ৫৬]
দ্বিতীয়ত: তাওহীদুর রুবুবিয়্যাহ, অর্থাৎ এ কথা স্বীকার করা যে, একমাত্র আল্লাহই সৃষ্টিকর্তা, রিযিকদাতা, জীবন দানকারী, মৃত্যু প্রদানকারী, মুদাব্বির (ব্যবস্থাপক) এবং আসমান ও যমীনে একমাত্র তাঁরই বাদশাহী। এ প্রকার তাওহীদকে স্বীকৃতি দেওয়া সৃষ্টিজগতের একটি স্বভাবজাত ফিতরত–প্রকৃতি, এমনকি যেসব মুশরিকের মাঝে আমাদের নবী মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম প্রেরিত হয়েছিলেন তারাও তাওহীদুর রুবুবিয়্যাহকে স্বীকার করত এবং তা অস্বীকার করত না।
আল্লাহ বলেন,
“বল, আসমান ও যমীন থেকে কে তোমাদের রিযিক দেন? অথবা কে (তোমাদের) শ্রবণ ও দৃষ্টিসমূহের মালিক? আর কে মৃত থেকে জীবিতকে বের করেন আর জীবিত থেকে মৃতকে বের করেন? কে সব বিষয় পরিচালনা করেন? তখন তারা অবশ্যই বলবে, ‘আল্লাহ’। সুতরাং তুমি বল, ‘তার পরও কি তোমরা তাকওয়া অবলম্বন করবে না?” [সূরা ইউনুস, আয়াত: ৩১]
তৃতীয়ত: তাওহীদুল আসমা ওয়াসসিফাত, অর্থাৎ আল্লাহ যেসব নাম ও গুণে নিজকে গুণান্বিত করেছেন অথবা তাঁর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যেসব নাম ও গুণে তাঁকে গুণান্বিত করেছেন, তার প্রতি বিশ্বাস স্থাপন করা এবং কোনোরূপ সুনির্দিষ্ট আকার, সাদৃশ্য, বিকৃতি ও বিলুপ্তি ইত্যাদির আশ্রয়ে না গিয়ে, তাঁর মহত্বের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ হয়, এমনভাবে সে নাম ও গুণরাজির প্রতি বিশ্বাস স্থাপন করা। আল্লাহ তা‘আলা বলেন,
“আর আল্লাহর রয়েছে সুন্দরতম নামসমূহ। সুতরাং তোমরা তাঁকে সেসব নামেই ডাক।” [সূরা আল–আ‘রাফ, আয়াত: ১৮০]
দ্বিতীয় এবং তৃতীয় স্তম্ভ: সালাত প্রতিষ্ঠিত করা ও যাকাত প্রদান করা।
এ সম্পর্কে আল্লাহর ঘোষণা:
“আর তাদেরকে কেবল এই নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল যে, তারা যেন আল্লাহর, ইবাদাত করে তাঁরই জন্য দীনকে একনিষ্ঠ করে, সালাত কায়েম করে এবং যাকাত দেয়; আর এটিই হলো সঠিক দীন।” [সূরা আল–বায়্যিনাহ, আয়াত: ৫]
আল্লাহ আরো বলেন,
“আর তোমরা সালাত সুপ্রতিষ্ঠিত কর, যাকাত প্রদান কর এবং রুকুকারীদের সাথে রুকু কর।” [সূরা আল–বাকারাহ, আয়াত: ৪৩]
সালাত: এটা হলো আমাদের মূল আলোচ্য বিষয়।
যাকাত: আর তা হচ্ছে ঐ সম্পদ যা ধনবানের নিকট থেকে সংগৃহীত হয় এবং ধনহীন ও যাকাতের অন্যান্য হকদারদেরকে দেওয়া হয়। যাকাত ইসলামের একটি মহান বিধান, যা দ্বারা সমাজের সদস্যদের মাঝে সংহতি, সৌহার্দ, সহযোগিতা সুনিশ্চিত হয়।
চতুর্থ স্তম্ভ: রমযান মাসে সাওম পালন করা।
এ বিষয়ে আল্লাহ তা‘আলা বলেন,
“হে মুমিনগণ, তোমাদের ওপর সিয়াম ফরয করা হয়েছে, যেভাবে ফরয করা হয়েছিল তোমাদের পূর্ববর্তীদের ওপর। যাতে তোমরা তাকওয়া অবলম্বন কর।” [সূরা আল–বাকারাহ, আয়াত: ১৮৩]
পঞ্চম স্তম্ভ: সক্ষম ব্যক্তির জন্য হজ পালন করা। এ সম্পর্কে মহান আল্লাহর ঘোষণা:
“সামর্থ্যবান মানুষের ওপর আল্লাহর জন্য বায়তুল্লাহর হজ করা ফরয। আর যে কুফুরী করে, তবে আল্লাহ তো নিশ্চয় সৃষ্টিকুল থেকে অমুখাপেক্ষী।”
[সূরা আলে ইমরান, আয়াত: ৯৭]
Last updated on 2020年06月05日
Minor bug fixes and improvements. Install or update to the newest version to check it out!
ইসলামিক ল্যাব ২০২০
1.4 by RT.Dev
2020年06月05日