২০০ ভাবসম্প্রসারণের সমন্বয়ে এই অ্যাপ ডেভেলপ করা হয়েছে।
২০০ ভাবসম্প্রসারণের সমন্বয়ে এই অ্যাপ ডেভেলপ করা হয়েছে।
ভাবসম্প্রসারণ বাংলা দ্বিতীয় পত্রের একটি গুরুত্বপূর্ন আলোচ্য বিষয়। ভাবসম্প্রসারণের মাধ্যমে ছাত্রছাত্রীরা ভাবের গভীরতা বুঝতে সক্ষম হয়। ভাবের গভীরতার সাথে সাথে লেখার মান বৃদ্ধিতেও ভাবসম্প্রসারণ ভূমিকা পালন করে।
আমাদের এই অ্যাপ ২০০ ভাবসম্প্রসারণের সমন্বয়ে ডেভেলপ করা হয়েছে। এই অ্যাপ সকল শ্রেণীর ছাত্রছাত্রীদের কাজে আসবে। ছাত্রছাত্রীদের পাশাপাশি শ্রেণী শিক্ষক, গৃহশিক্ষক এবং অভিভাবক সবাই এই অ্যাপ থেকে সাহায্য নিতে পারবে। এই অ্যাপ ব্যবহার করে যদি কেউ উপকৃত হয় তবেই আমাদের কষ্ট সার্থক হবে।
অতিবাড় বেড়ো না, ঝড়ে পড়ে যাবে অতি ছোট থেকো না, ছাগলে মুড়াবে।
অতি দীন ও অশক্ত লোকেরাই দৈবের দোহাই দিয়া থাকে।
অর্থই অনর্থের মূল।
অর্থ সম্পদের বিনাশ আছে কিন্তু জ্ঞান সম্পদ কখনো বিনষ্ট হয় না।
অন্যায় যে করে আর অন্যায় যে সহে তব ঘৃণা যেন তারে তৃণসম দহে।
অপরের দুঃখ কথা করিলে চিন্তন আপনার মনে দুঃখ থাকে কতক্ষণ।
অভাব অল্প হলে দুঃখও অল্প হয়ে থাকে।
অভাবে স্বভাব নষ্ট।
অভিজ্ঞতা হল দুঃখ কষ্টের নির্যাস।
অসির চেয়ে মসি বড়।
অহংকার এমন এক আবরণ, যা মানুষের সকল মহত্ত্ব আবৃত করে ফেলে।
অশান্তি যুদ্ধ থেকেও গুরুতর।
আগে চল, আগে চল ভাই পড়ে থাকা পিছে, মরে থাকা মিছে, বেঁচে মরে কিবা ফল, ভাই।
আগে চুরি করে জেল খাটে পরে, নির্বোধ চোর তারা আগে জেল খাটে পরে চুরি করে, সেয়ানা স্বদেশী তারা।
আছে যাহা আপন হাতে, নিত্য খুশি থাকো তাতে পরদ্রব্যে করলে আশা, দুঃখ পাবে সর্বনাশা।
আত্মবিশ্বাসই বীরত্বের মূলমন্ত্র।
আত্মশক্তি অর্জনই শিক্ষার উদ্দেশ্য।
আপনি আচরি ধর্ম শিখাও অপরে।
আপনা রাখিলে ব্যর্থ জীবন সাধনা জনম বিশ্বের তরে পরার্থে কামনা।
আপনাকে বড় বলে বড় সেই নয়, লোকে যারে বড় বলে বড় সেই হয়।
আপনারে কভু ভেবোনা ক্ষুদ্র, ভাবিওনা দীন তুমি তুমি নিতে পার জয় করিয়া এ বিপুল বিশ্বভূমি।
আপনারে লয়ে বিব্রত রহিতে, আসে নাই কেহ অবনি পরে। সকলের তরে সকলে আমরা, প্রত্যেকে আমরা পরের তরে।
আভিজাত্যের অহংকারের মতো অন্যায়বোধ হয় আর একটিও নাই।
আমরা শক্তি আমরা বল, আমরা ছাত্রদল মোদের পায়ের তলায় মূর্ছে তুফান ঊর্ধ্বে বিমান ঝড়-বাদল, আমরা ছাত্রদল।
আমার এ ঘর ভাঙ্গিয়াছে যেবা, আমি বাঁধি তার ঘর আপন করিতে কাঁদিয়া বেড়াই, যে মোরে করেছে পর।
আমার একার সুখ, সুখ নহে ভাই সকলের সুখ, সখা, সুখ শুধু তাই।
আলস্য এক ভয়ানক ব্যাধি।
আলো ও অন্ধকার পাশাপাশি বাস করে একটিকে বাদ দিলে অন্যটি মূল্যহীন।
আলো বলে, অন্ধকার, তুই বড় কালো অন্ধকার বলে, ভাই তাই তুমি আলো।
আশার অন্ত নাইকো বটে আর সকলের অন্ত ঘটে।
ইচ্ছা থাকলে উপায় হয়।
উদয়ের পথে শুনি কার বাণী, ভয় নাই ওরে ভয় নাই নিঃশেষে প্রাণ যে করিবে দান, ক্ষয় নাই তার ক্ষয় নাই।
উত্তম নিশ্চিন্তে চলে অধমের সাথে তিনি মধ্যম যিনি চলেন তফাতে।
এ জগতে হায়, সেই বেশি চায় আছে যার ভূরি ভূরি রাজার হস্ত করে সমস্ত কাঙালের ধন চুরি।
এক মাঘে শীত যায় না।
কত বড় আমি, কহে নকল হীরাটি। তাইত সন্দেহ করি, নহ ঠিক খাঁটি।
কর্তব্যের কাছে ভাই বন্ধু কেহই নাই।
করিতে পারি না কাজ সদা ভয় সদা লাজ। সংশয়ে সংকল্প সদা টলে পাছে লোকে কিছু বলে।
কাক কোকিলের এক বর্ণ, স্বরে কিন্তু ভিন্ন ভিন্ন।
কাঁটা হেরি ক্ষান্ত কেন কমল তুলিতে দুঃখ বিনা সুখ লাভ হয় কি মহিতে?
কালো আর ধলো বাহিরে কেবল, ভিতরে সবারই সমান রাঙা।
কীর্তিমানের মৃত্যু নাই।
কেরোসিন শিখা বলে মাটির প্রদীপে, ভাই বলে ডাক যদি দেব গলা টিপে, হেন কালে আকাশেতে উঠিলেন চাঁদা, কেরোসিন শিখা বলে- “এসো মোর দাদা।”
কোথায় স্বর্গ, কোথায় নরক, কে বলে তা বহুদূর মানুষের মাঝে স্বর্গ নরক, মানুষেতে সুরাসুর।
কৃষ্ণ বলিয়া যারে তুমি আজি কর হীন অপমান রুধির তাহারো নহেত কৃষ্ণ- বহে সে-ও একই প্রাণ।
ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র বালুকণা, বিন্দু বিন্দু জল গড়ে তোলে মহাদেশ সাগর অতল।
ক্ষুধার রাজ্যে পৃথিবী গদ্যময় পূর্ণিমার চাঁদ যেন ঝলসানো রুটি।
গতিই জীবন, স্থিতিতে মৃত্যু।
গ্রন্থগত বিদ্যা আর পর হস্তে ধন নহে বিদ্যা, নহে ধন হলে প্রয়োজন।
গাইতে গাইতে গায়েন আর বাজাতে বাজাতে বায়েন।
গাহি সাম্যের গান মানুষের চেয়ে বড় কিছু নাই, নয় কিছু মহীয়ান।
গেঁয়ো যোগী ভিখ পায় না।
ঘুমিয়ে আছে শিশুর পিতা সব শিশুরই অন্তরে।
চকচক করলেই সোনা হয় না।
চরিত্রহীন মানুষ পশুর সমান।
চন্দ্র কহে, বিশ্বে আলো দিয়েছি ছড়ায়ে কলঙ্ক যা আছে তাহা আছে মোর গায়ে।
আশীবিষে দংশেনি যারে।
জগৎ জুড়িয়া এক জাতি আছে, সে জাতির নাম মানুষ জাতি; একই পৃথিবীর স্তন্যে লালিত, একই রবি-শশী মোদের সাথী।
জনগণই সকল ক্ষতার উৎস।
জন্ম হোক যথা তথা কর্ম হোক ভালো ।
জন্মিলে মরিতে হবে, অমর কে কোথা কবে?
জাতীয় অবিচার জাতীয় পতনের নিশ্চিত কারণ।
জীবে প্রেম করে যেই জন, সেই জন সেবিছে ঈশ্বর।
জ্ঞানহীন মানুষ পশুর সমান।
জ্ঞান যেখানে সীমাবদ্ধ, বুদ্ধি সেখানে আড়ষ্ঠ, মুক্তি সেখানে অসম্ভব।