شوکت علی اپریل 26 ، 9 اگست ، 6 ، سیاست دان اور بنگلہ زبانیں
শওকত আলী
শওকত আলী এপ্রিল ২০, ১৯১৮ আগস্ট ১৮, ১৯৭৫, রাজনীতিবিদ এবং বাংলা ভাষা আন্দোলনের একজন অন্যতম নেতা। তিনি আওয়ামী মুসলিম লীগের একজন প্রতিষ্ঠাতা যা পরে হয়ে আওয়ামী লীগ এবং বর্তমানে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ নামে পরিচিত। তিনি তিনটি রাষ্ট্রভাষা সংগ্রাম পরিষদেরই সদস্য ছিলেন। এছাড়াও ১৯৫০ সালে তিনি ঢাকা নগর আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাতার অন্যতম উদ্যোক্তা ছিলেন। তার বাড়ি ১৫০, চাক মুগুলতুলি, ঢাকা ছিল ভাষা আন্দোলনের সময় অনেক কাজকর্ম এবং মিটিং জন্য কেন্দ্রস্থল। ১৯৭৫ সালের ১৮ আগস্ট স্ট্রোকে আক্রান্ত হয়ে তিনি মারা যান। ঢাকার জুরাইন কবরস্থানে তাকে সমাধিস্থ করা হয়।
প্রারম্ভিক জীবন
শওকত আলী ১৯১৮ সালের ২০ এপ্রিল পূর্ববাংলা ঢাকার গেন্ডারিয়ার একটি বিশিষ্ট সুন্নি মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহন করেন। তাঁর পিতা শমসের আলী ছিলেন এলাকায় একজন বিশিষ্ট ব্যবসায়ী এবং মা মেহেরুননেসা খাতুন ছিলেন একজন গৃহিনী। দুই বছর বয়সে মাকে হারান তিনি। তিনি তার পিতা ও মামা মামীর সান্নিধ্যে বড় হয়ে ওঠেন। তিনি মুসলিম হাই স্কুল থেকে লেখাপড়া করেন। তার উচ্চ বিদ্যালয় শেষ করার পর তিনি জগন্নাথ কলেজে যোগ দেন এবং বি কম ডিগ্রীপ্রাপ্ত লাভ করেন। তিনি উচ্চশিক্ষার জন্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে গিয়েছিলেন কিন্তু রাজনৈতিক সম্পৃক্ততার কারণে তা সম্পন্ন করতে পারেননি।
রাজনৈতিক জীবন
শওকত আলী তমদ্দুন মজলিশের সঙ্গে গভীরভাবে জড়িত ছিলন। রশিদ ভবনে ৩০ ডিসেম্বর ১৯৭৪ তারিখে অধ্যাপক আবুল কাশেম একটি সভার আয়োজন করেছিলেন। অধ্যাপক আবুল কাশেমের নেতৃত্বে প্রথম রাষ্ট্রভাষা সংগ্রাম পরিষদ তমদ্দুন মজলিশের রাষ্ট্রভাষা উপ কমিটি নামে গঠিত হয়। শওকত আলী এই কমিটির একজন সদস্য হিসেবে নির্বাচিত হন।
মৃত্যু
শওকত আলী, ১৫ আগস্ট, ১৯৭৫ তারিখে শেখ মুজিবুর রহমানের বিশ্বাসঘাতকতামূলক গুপ্ত হত্যা সংবাদ শুনে স্ট্রোক আক্রান্ত হন। আগস্ট ১৮, ১৯৭৫ তিনি ঢাকার হলি ফ্যামিলি হাসপাতাল মারা যান। ঢাকার জুরাইন কবরস্থানে তাঁকে সমাধিস্থ করা হয়।
পরিবার
১৯৬০ সালে, শওকত আলীর সাথে রহিমা খাতুনের বিয়ে সম্পন্ন হয়। রহিমা ঢাকার ফজলুল হক মহিলা কলেজের উপাধ্যক্ষ এবং নারী অধিকার বাস্তবায়ন সংঘের সভাপতি ছিলেন। তাঁদের তিন পুত্র এবং একটি মেয়ে রয়েছে।
কিংবদন্তী
২০১১ সালে শওকত আলীকে বাংলাদেশে সর্বোচ্চ বেসামরিক পুরস্কারগুলোর মধ্যে একটির পুরস্কার একুশে পদক দেয়া হয়। ভাষা আন্দোলনে অসামান্য অবদানের জন্য ১৭ জানুয়ারি, ২০১০ তারিখে ঢাকা সিটি কর্পোরেশন ধানমণ্ডি ৪/এ সড়কটি তাঁর নাম অনুসরণে নামকরণ করা হয়।